December 22, 2024, 9:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
নিখোঁজের প্রায় দু’মাস পর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আলমগীর হোসেন বিশ্বাস নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খাদিমপুরে বাড়ির নিকটবর্তী একটি পুকুরের শ্যাওলার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক আলমগীর হোসেন বিশ্বাস(২৭) একই গ্রামের কাতব আলী বিশ্বাসের ছেলে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার বন্ধু একই গ্রামের শিপন আলী টাকার জন্য তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখে বলে অভিযোগ নিহত আলমগীরের পরিবারের।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হয় যুবক আলমগীর হোসেন বিশ্বাস (২৭)। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আলমগীরের বাড়ির নিকটবর্তী উজ্জ্বল মোল্লার পুকুরে মাছ ধরার জন্য শ্যাঁওলা ও জার্মনি পরিষ্কার করছিল লোকজন। এ সময় জার্মনির নিচে চাপা দিয়ে রাখা আলমগীরের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আলমগীর বিশ্বাসের প্রতিবেশীরা জানান, আলমগীর বিশ্বাস গরু লালন পালন করতো এবং মোটাতাজার পর বিক্রি করতো। এ কারণে সব সময় তার কাছে নগদ কয়েক লাখ টাকা থাকতো। অবিবাহিত আলমগীর ১০ অক্টোবর আকস্মিক নিখোঁজ হয়। প্রায় দুই মাস পর আজ সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে জার্মনি দিয়ে চাপা দেয়া অবস্থায় মিলল তার গলিত মরদেহ।
নিহত আলমগীর হোসেন বিশ্বাসের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে শিপন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল আলমগীরের। আলমগীর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন একটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে সময় তার কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আমাদের ধারণা আলমগীরের টাকাগুলো হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে খুন করে মরদেহ পুকুরের জার্মনির নিচে চাপা দিয়ে রাখে শিপন।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলমগীর কবির বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে আলমগীর বিশ্বাসকে হত্যা করে জার্মনি চাপা দিয়ে রাখে খুনি। আমরা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। ঘাতক যেই হোক শিগগিরই তাকে খুঁজে গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply